বাংলাদেশ-ভুটান দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই বিনা শুল্কে যাবে ১০০ পণ্য আসবে ৩৪টি

এফএনএস : দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। গতকাল রোববার বাংলাদেশকে ভুটানের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক দিনে এই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই হয়। ভার্চ্যুয়াল এ অনুষ্ঠানে নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভুটানের অর্থ-বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটান প্রান্ত থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সংযুক্ত ছিলেন। চুক্তি সইয়ের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যেকার সম্পর্কের আরও উন্নতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন। তারা দুই দেশের ঐতিহাসিক ও বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে এই চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা থেকে বেড়ে ৫৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। ভুটানে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জাসামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী রপ্তানি করে থাকে। আর ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর, সবজি-ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, কেমিক্যালস ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান। ঐতিহাসিক দিনটি সামনে রেখে ৬ ডিসেম্বর চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. টান্ডি দর্জি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমসহ দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হবে। ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বর্তমান প্রাপ্ত বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধা লোপ পাবে।
বর্ণিত প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ও নির্দেশনার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর কার্যক্রম নিয়েছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে- বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তিসমূহ সময়োপযোগী করা, পিটিএ এবং এফটিএ সস্পাদন। বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য। ডব্লিউটিও বিধি-বিধান মেনে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রিফারেন্টাল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) আলোচন/নেগোশিয়েশন অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২২-২৩ আগস্ট ২০১৯ সালে ভুটানের সঙ্গে থিম্পুতে পিটিএ নেগোশিয়েশন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুন ২০২০ ভিডিও কনফারেলিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় খসড়া পিটিএ চুক্তি ও এর সঙ্গে সংযুক্ত রুলস অব ডিটারমিনেশন অব ওরজিন (আরও) নিজ নিজ দেশের অনুমোদনের পর সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
বিধি মোতাবেক চুক্তিটি সইয়ের পর ডব্লিটিওতে নোটিফাই করা হবে। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে মোট বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে ও একই সময়ে আমদানি করে ১২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য ৫৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময় বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এদিকে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটান থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সংযুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। ভুটানে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জাসামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী রপ্তানি করে থাকে। অপরদিকে ভুটান থেকে বাংলাদেশ বোল্ডার পাথর, সবজি-ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, ক্যামিক্যালস ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা থেকে বেড়ে ৫৭ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।
আরও খবর
- সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
- বগুড়া মেডিকেলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আট
- ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেবে সরকার
- আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করার ঘোষণা ১৪ দলের
- রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর পুজোয় ভক্তদের ঢল
- গোদাগাড়ীতে ছদ্মবেশী শফি ৭৬ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক
- নগরীতে প্রকাশ্য দিবালোকে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই
- মিলেমিশে কাজ করতে রাজশাহী নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
- নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের ১১ সদস্য ক্লোজড, যুগ্মসচিব এনামুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
- জুনের মধ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ
- মৃত্যুর আগে যে ইচ্ছে পূরণ করতে চান মৌসুমী
- ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডিসেনা
- বেপরোয়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট!
- বিনামূল্যে আটার জন্য ২ জন নিহত
- পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনে মহড়া শুরু রাশিয়ার