শনিবার

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway
সর্বশেষ সংবাদ
ডেঙ্গুতে নয় জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭ বাঘায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত রাজশাহীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৯ সদস্য গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর জন্য আশির্বাদ : এমপি এনামুল সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঃ লিটন পুঠিয়ায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ মান্দায় আত্রাই নদীর বাঁধে ভাঙন মহাদেবপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত স্যাংশন নিয়ে আ’লীগের একটা পশমও ছেড়া যাবে না : লিটন গোদাগাড়ীতে ভূগর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জর্জিয়ার ফল পাল্টাতে গভর্নরকে ট্রাম্পের চাপ

Reporter Name
Update : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জর্জিয়ায় জো বাইডেনের জয় উল্টে দিতে সাহায্য করার জন্য রাজ্যটির রিপাবলিকান গভর্নরের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে তিনি গভর্নর ব্রায়ান কেম্পকে রাজ্যের আইনসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। জর্জিয়ার সেনেট রানঅফ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানে একটি প্রচার সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এসব টুইট করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ট্রাম্প এখনও নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন আর বাইডেনের জয় ‘প্রতারণার মাধ্যমে এসেছে’ বলে কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে আসছেন। বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি, কিন্তু সেসব প্রচেষ্টার প্রায় সবগুলোতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া একটি প্রধান ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য ছিল। এখানে সামান্য ব্যবধানে জয় বাইডেনের বিজয়কে সুদৃঢ় করতে সাহায্য করেছে। ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো রাজ্যটি ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেয়।

এখন সবাই যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলা লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। জানুয়ারিতে জর্জিয়ায় দুটি রানঅফ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে রিপাবলিকানরা সেনেটে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। ওয়াশিংটন পোস্টের ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে ট্রাম্প কেম্পকে ফোন করে ডাক যোগে ভোট দেওয়া ভোটারদের স্বাক্ষর নিরীক্ষা করার দাবি তুলতে বলেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো নিরীক্ষা আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় কেম্প প্রেসিডেন্টের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই টুইটারে গভর্নর কেম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেন ট্রাম্প। “আমি সহজেই ও দ্রুত জর্জিয়ায় জয় পেতাম যদি গভর্নর ব্রায়ান কেম্প বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামান্য একটি স্বাক্ষর নিরীক্ষার অনুমতি দিতেন; কেন এই দুই জন ‘রিপাবলিকান’ না বলছেন?” টুইটে বলেন ট্রাম্প।

এক টুইটে এর জবাব দিয়ে কেম্প জানান, তিনি ‘তিনবার স্বাক্ষর নিরীক্ষার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছিলেন’। পাল্টা টুইটে ট্রাম্প বলেন, “আপনি যা করতে বলছেন আপনার লোকজন তা করতে অস্বীকার করছে। তারা কী লুকাচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “অন্তত এখনই আইনসভার একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করুন। যা আপনি সহজেই, তাৎক্ষণিকভাবেই করতে পারেন।” পরে জর্জিয়ার ভালডোস্টায় এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প আবার কেম্পকে নিয়ে কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর প্রথম কোনো সমাবেশে যোগ দেওয়া ট্রাম্প বলেন, “গভর্নরকে অনেক কঠোর হতে হয়।”

সমাবেশে উপস্থিত উৎফুল্ল জনতাকে ট্রাম্প বলেন, তিনি এখনও নির্বাচনে জিততে পারেন। ফের নিজের অপ্রমাণিত অভিযোগ তুলে বলেন, “তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি ও প্রতারণা করেছে কিন্তু আমরা এখনও এটি জিততে পারি।” এ সময় উপস্থিত জনতা, যাদের অনেকেই ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন’ পোস্টার দোলাচ্ছিল, ‘চুরি থামাও’ ও ‘আরও চার বছর’ বলে শ্লোগান দেয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris