তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে অবৈধভাবে কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন ও বাণিজ্যিক ভাবে জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি (টপসয়েল) বিক্রি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে অপরিকল্পিত ভাবে টয়সয়েল বিক্রি করায় কৃষি জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস ও উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে। এক শ্রেণীর মাটিদস্যু সাধারণ কৃষকদের নগদ অর্থের লোভ দেখিয়ে এসব অপকর্ম করছে।
স্থানীয়রা জানান, এখনই এসব মাটিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এদের দেখাদেখি অন্যরাও এই কাজে জড়িয়ে পড়বে। জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির পাড়িশো-দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা দাওয়াত আলীর পুত্র হযরত আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমির (টপ সয়েল) উপরিভাগের উর্বরা মাটি ইট ভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন। এদিকে অবৈধ স্কেলটর (ভেঁকু) মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে এসব মাটি কেটে ট্রাক্টর করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে এসব মাটি পরিবহনের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে রাস্তা ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামবাসী রাস্তা নস্টের প্রতিবাদ ও মাটি কাটা বন্ধ করতে গেলে ভেঁকু মেশিনের লোকজন লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কৃষি জমি নস্ট করে মাটি কাটা ও রাস্তা নস্ট করে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহণ করা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। অথচ কদিন আগেই খালের খননকৃত মাটি পরিবহণের অপরাধে দুই জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো খালের খননকৃত মাটি পরিবহণ যদি অপরাধ হয় তাহলে ফসলী জমির মাটি বিক্রি কি অপরাধ নয়-?
অন্যদিকে মাটি পড়ে রাস্তা নস্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। অন্যদিকে হযরতের দেখাদেখি মাদারিপুর গ্রামের উজ্জ্বলের প্রলোভনে পাড়িশো-দুর্গাপুর নাড়িপাড়া গ্রামের ইদ্রিসের পুত্র মিজানুর রহমান চেরু তার জমির মাটি বিক্রি করছে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন,সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত জমির শ্রেণী পরিবর্তন বা উপরিভাগের (টপসয়েল) মাটি কাটার কোনো সুযোগ নাই এটা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যাপারে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মসলেম আলী প্রামানিক বলেন, এসব ভেঁকু মেশিন এলাকায় আসতে দেয়া ঠিক নয়। তিনি বলেন, এসব মেশিন এলাকায় থাকলেই গোপণে পুকুর কাটে।এব্যাপারে জমির মালিক হযরত আলী বলেন, তার জমির মাটি তিনি কাটছেন এখানে অনুমতি নেয়ার কি আছে।