বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

ফ্রান্সে বন্ধ হচ্ছে ৭৬ মসজিদ

Paris
Update : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : ফ্রান্সের সরকার তার ভাষায় ধর্মীয় ‘চরমপন্থার’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক ও নজির’ পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেছেন, এর অংশ হিসেবে তারা ৭৬টি মসজিদকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদে’ জড়িত বলে সন্দেহ করেছেন। খবর আল জাজিরার। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে এসব মসজিদে পরিদর্শন করা হবে। যদি আমাদের সন্দেহ সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা এগুলো বন্ধ করার আবেদন জানাবো। এ ছাড়া ‘চরমপন্থী’ সন্দেহে ৬৬ জন অবৈধ অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ডারমানিন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহে দেশটিতে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ হামলার পর কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় ‘ভেতরের শত্রুদের’ বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। ম্যাক্রোঁর ভাষায় ‘ইসলামিস্ট সেপারাটিম’ মোকাবিলায় গত অক্টোবরে তিনি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। ওই সময় তিনি মন্তব্য করেন যে, বিশ্বজুড়ে সংকটে রয়েছে ইসলাম। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর মুসলিম বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পর ২০ অক্টোবর প্যারিসের বাইরে একটি মসজিদ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ফরাসি সরকার।

মসজিদটি ঘৃণা উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে মহানবী (সা.) এর কার্টুন দেখিয়ে হত্যার শিকার শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির হামলার আগে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিল ওই মসজিদটি। এছাড়া দুটি সংস্থাও বন্ধ করে দিয়েছে ফ্রান্সের সরকার। একটি হচ্ছে মুসলিম চ্যারিটি বারাকাসিটি এবং আরেকটি হচ্ছে ঘৃণামূলক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা দ্য কালেক্টিভ অ্যাগেইস্ট ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স (সিসিআইএফ)।

তারা ‘চরমপন্থীদের’ সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ ফরাসি সরকারের। উল্লেখ্য, ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস ফ্রান্সে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে সিরিজ হামলার পর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris