যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন সেনাপ্রধান

এফএনএস : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোনও হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার পাশাপাশি পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ দিকে কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন সেনানিবাসে নবগঠিত চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টেশন সদর দপ্তর রামু স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানি রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা। প্
রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনী প্রধান তার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল। এ সময় তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব মুক্তিযোদ্ধাকে। এ সময় সেনা প্রধান কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন। সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এছাড়াও উপস্থিত সেনা সদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পারিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা,ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃংখল, দক্ষ ও যোগ্য সেনা সদস্য হিসেবে গড়ে উঠার নির্দেশ প্রধান করেন। সেই সাথে পেশাদারিত্বের ঈস্পিতমান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন উপলক্ষে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের চারটি ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন রূপকল্প পোর্সেস গোল ২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এ ডিভিশন সব প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে।
আরও খবর
- হোয়াইটওয়াশ করতে পারল না টাইগাররা
- ভারতে মন্দিরের কুয়ার ছাঁদ ধসে নিহত ৩৫
- ৬০ হাজার অভিবাসীর কাজের সুযোগ জার্মানিতে
- মডেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
- এবার কাবুলিওয়ালা হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী
- জমি নিয়ে বিরোধ মান্দায় প্রতিপক্ষের মারধরে আহত ৬
- বাগমারায় সালেহা ইমারত কিরাত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আজ শনিবার
- মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ১৪ লক্ষ টাকা ছিনতাই মামলার আন্তঃজেলা চক্রর সক্রিয় দুই সদস্য গ্রেফতার
- নওগাঁয় ১২ ডাকাত আটক ট্রাক, চাল, টাকা উদ্ধার
- তানোরে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন মারপিট হামলা আহত সদস্য সচিব
- টাকা ফেরতের জন্য মাদ্রাসার সুপারের কলার ধরে টানাহেঁছড়া!
- কানাডার পার্লামেন্টে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাস
- জাহাজ থেকে পড়ে নিখোঁজ প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার
- নাটোরে বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
- তানোরে বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে