এফএনএস : হবিগঞ্জে আবাসিক হোটেলে বিষক্রিয়ায় আলমগীর মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চতুর্থ স্ত্রী তানিয়া আক্তার। আদালতে তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি স্বামীকে মদের সঙ্গে কৌশলে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেন।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গতকাল বুধবার সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তারা দুজনই বিবাহিত। তানিয়া আলমগীরের চতুর্থ স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তানিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৩ জুলাই শহরের সিহাব রেস্ট হাউজে উঠে তারা একটি কক্ষ ভাড়া নেন।

সেখানে মদের সঙ্গে কৌশলে বিষ মিশিয়ে স্বামী আলমগীরকে পান করান। পরে স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে হোটেলকর্মীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে কান্নার অভিনয় করেন তানিয়া। এরপর আলমগীরের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে হাসপাতাল থেকে তানিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালত স্বীকারোক্তি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান ওসি মাসুক আলী। স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলমগীর সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তার চতুর্থ স্ত্রী তানিয়া আক্তার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে।