মাঠে ফিরলেন মাশরাফি

এফএনএস : প্রিয় আঙিনায় কত দিন পর! সেই মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর অবশেষে আবার পা রাখলেন মঙ্গলবার। প্রায় ১৪ বছর ধরে যেখানে তার নিয়মিত বিচরণ, সাড়ে ৮ মাসের বিরতির পর চেনা সেই প্রান্তরে এসে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক হাসতে হাসতে বললেন, “সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমিও দেখছিসব কেমন যেন নতুন লাগছে।” দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ, নিজে ও পরিবারের অন্যান্যের আক্রান্ত হওয়া, এরপর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট, সব মিলিয়ে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সঙ্গে মাশরাফির এই দূরত্ব। চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন না চোটের কারণেই।
ফেরার লড়াইয়ে বড় এক ধাপ এগোলেন এ দিন। বোলিং করলেন মিরপুর একাডেমি মাঠের সেন্টার উইকেটে। গত কিছুদিন ধরে রানিং ও জিম সেশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন নিজের মতো করে। চোটের পর বোলিং করলেন মঙ্গলবারই প্রথম। শুরুতে দুই-তিন পদক্ষেপে কিছু ডেলিভারি করলেন, পরে মাঝারি রান আপে কয়েকটি। এরপর পুরো রান আপে বোলিং করলেন চার ওভার। লম্বা বিরতির পরও তার লাইন-লেংথ ছিল দারুণ। শতভাগ দিয়ে বোলিং অবশ্য করতে দেখা যায়নি। মূলত স্পট বোলিং করেছেন।
বোলিংয়ের আগে ও পরে রানিং সেশন করেছেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে। বাইরে থেকে দেখে মনে হয়নি, বোলিংয়ের সময় তিনি খুব একটা অস্বস্তিতে ভুগছেন। পরে সেটি নিশ্চিতও করলেন মাশরাফি, “জিম আর রানিংয়ে কোনো ব্যথা ছিল না। দেখতে চেয়েছিলাম, বোলিং করলে কেমন লাগে। আজকে বোলিং করে ব্যথা অনুভব করিনি। ভালোই ছিল সবকিছু।” লকডাউনের শুরুর দিকে ফিটনেস নিয়ে ঘাম ঝরিয়ে ওজন ৭৯ কেজিতে নামিয়ে এনেছিলেন তিনি। নিজে আক্রান্ত হওয়ার পর বন্ধ হয় ফিটনেস ট্রেনিং। ওজন বাড়তে তাকে আবার। একপর্যায়ে তা ৯৪ কেজিতে পৌঁছে গিয়েছিল। গত কিছুদিনে আবার ট্রেনিং করে ওজন নামিয়ে এনেছেন ৮৪ কেজিতে।
তার আশা, বোলিং শুরুর পর আগামী কয়েকদিনে ওজন কমবে আরও কিছুটা। বোলিংয়ে ফেরায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফিকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে যথেষ্টই। দু-একটি দল তাকে পেতে আগ্রহী বলেও জানা গেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বিসিবি থেকে জানানো হয়েছিল, মাশরাফি ফিট হওয়ার পর কোনো দল চাইলে তাকে নিতে পারবে। একাধিক দল আগ্রহী হলে তাদের মধ্যে লটারি হবে। ম্যাচে বোলিং করার অবস্থায় যেতে অবশ্য আরও কয়েক দিন সময় লাগবে তার। মাশরাফির বোলিংয়ে ফেরার দিনে আরেকটি প্রশ্নও উঠেছে।
তিনি যখন একাডেমি মাঠে গেলেন, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও ফরচুন বরিশাল দল তখন অনুশীলন করছিল। ওই দুই দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা আছেন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। মাশরাফি কি সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন বা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়েছে? একাডেমি মাঠে পা রাখার পর বেশ কিছুটা সময় মাঠের বাইরে অপেক্ষা করেছেন মাশরাফি। অপেক্ষা করেছেন ওই দুই দলের অনুশীলন শেষ হওয়া পর্যন্ত।
আরও খবর
- জুনের মধ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ
- মৃত্যুর আগে যে ইচ্ছে পূরণ করতে চান মৌসুমী
- ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডিসেনা
- বেপরোয়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট!
- বিনামূল্যে আটার জন্য ২ জন নিহত
- পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি প্রদর্শনে মহড়া শুরু রাশিয়ার
- ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় : তথ্যমন্ত্রী
- ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলা মুক্ত সেবা দানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বড় জয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
- বিদায়ী জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দিল রাজশাহী জেলা পরিষদ
- মোহনপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল সরকার
- পবায় পুকুর সংস্কারে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় থানায় অভিযোগ
- নওগাঁয় ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
- সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের ঘটনায় রাবিসাসের উদ্বেগ
- মানবতার ফেরিওয়ালা আহসান হাবীব