স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নে যশোর বিলের সরকারী খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তবে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ প্রভাবশালী কয়েক জনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যোগীপাড়া ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে যশোর বিলের খালটি পানি নিস্কাশন ও কৃষকের ফসলে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য গত বছরে সরকারী ভাবে খালটি খনন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামিরকুৎসা ইউনিয়নের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা বাঁশের বানা ও জাল দিয়ে ঘিরে জেলেদের মাছ মারা বন্ধ করে দেয়।
খালটি জনগন ও জেলেদের মাছ মারার জন্য উম্মুক্ত রাখার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান নিজের স্বার্থের জন্য ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখে। মাছ ধরতে না পেরে এলাকার অনেক জেলেরাই অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে বলে জানা গেছে। খালে বেড়া দেয়ার পর থেকেই কোন জেলে বা এলাকার কোন জনগনকে মাছ শিকার করতে দেয়নি বলে এলাকার লোকজন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের আ’লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, যুবলীগসহ অঙ্গসঙ্গঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি খালটি অবৈধ ভাবে দখল করেছেন। অবিলম্বে তারা খালটি উম্মুক্ত করে এলাকার জনগন ও জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি খাল দখল ও বেড়া নির্মানের সাথে জড়িত নয়। আমার কিছু ব্যক্তিবর্গ জড়িত থাকায় এলাকার কিছু ব্যক্তি তাকে হেরেজম্যান্ট করার জন্য এমন কর্মকান্ড করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, খালের বেড়া সরানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বে সাথে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।