শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব এইডস দিবস

Paris
Update : সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

এফএনএস : বিশ্ব এইডস দিবস আজ মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’। ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বে এ দিবসটি পালন করে থাকে।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার এক বাণীতে এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সহজলভ্য ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০২০’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, এবারের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এইডস একটি মরণঘাতী রোগ। বাংলাদেশে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি যথেষ্ট প্রবল। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও আচরণ পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।

আবদুল হামিদ বলেন, এইডসের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার না হলেও বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ রোগের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান ও এইডস প্রতিরোধে সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতা সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris