হরিপুরে যুবকের মৃত্যু : চেয়ারম্যান মুঞ্জিলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে আটক যুবক মোফাজ্জাল হোসেনের (২৬) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাতে নিহতের ভাই উজ্বল আলী বাদি হয়েছে এ মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলায় হরিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিলসহ চারজনের নাম উল্লেখ্য করে ১৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন, নিহত মোফাজ্জলের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম, স্ত্রী রিয়া খাতুন ও শাশুড়ি সুদানা বেগম। মামলায় ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। ওসি বলেন, নিহতের শ্বশুর রফিকুল ইসলামকে প্রধান ও ইউপি চেয়ারম্যান মুঞ্জিলকে দ্বিতীয় আসামী করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে মোফাজ্জালের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত মোফাজ্জল হোসেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
দুই সপ্তাহ আগে ভ্যানচালক মোফাজ্জল হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে আসায় তাকে ফিরিয়ে নিতে দুইদিন আগে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন তিনি। পরে তাকে ইউপি কমপ্লেক্সে আটকে রাখা হয়। দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, লেপের ছেঁড়া অংশের কাপড় দিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে। আগের রাত থেকে ওই কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এটি হত্যা না আত্মাহত্যা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহতের শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি জানান, রোববার সকালে গ্রাম পুলিশ গিয়ে মোফাজ্জলের লাশ দেখে চেয়ারম্যানকে খবর দেন। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেওয়া হয়েছে। তারা গিয়ে লাশের সুরাতহাল তৈরি করার পর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে হলেও রফিকুলের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। কনে আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দুই দিন আগে মোফাজ্জল স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় মোফাজ্জলকে ধরে মারধর করে আমার কাছে নিয়ে আসে। রোববার দুইপক্ষের লোকজনদের নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়ে মীমাংসায় বসার কথা ছিল। এজন্য রাতে মোফাজ্জলকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়।
আরও খবর
- আমরা যুদ্ধ ও আগ্রাসন সমর্থন করি না : শেখ হাসিনা
- রাজশাহীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেন ভারতীয় অতিথিরা
- রাজশাহীতে ওহী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন
- চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ঘটনার নেপথ্যে কী?
- পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ কিমের
- চীনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়া পৌঁছেছেন
- বক্সিংয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুকসানা
- রেকর্ড ছুঁলেন লিটন, সাত হাজারী ক্লাবে মুশফিক
- পাঁচ টাকার জন্য..
- ‘রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দিলেও ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে কেন নয়’
- ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা তিনদিনের মধ্যে কমতে পারে
- বাকিতে পণ্য আমদানি বাড়ছে
- ইভিএম নিয়ে আমরা অন্ধকারে : ইসি
- প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন কারাগারে
- নাসির ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু