মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় সুলতান মাহমুদ নামের এক কৃষকের জমি প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখল করার জন্য প্রতিপক্ষ রোপিত মেহগুনি, ইউক্যালেকটারসহ পানবরজ কেটে ফেলেছে। গাছ বিনষ্ট ও জমি রক্ষার্থে গত রোববার ভুক্তভোগী বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে দিনভর সন্ত্রাসী কায়দায় লোহার রড, সাবল, হাঁসুয়া নিয়ে বহিরাগত ক্যাডারবাহিনীদের অপতৎরতায় এলাকাবাসী চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এতে প্রতিপক্ষের ক্যাডারবাহিনীতে এলাকার আইন শৃংখলার চরম অবননিতর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

পুলিশ, গ্রামবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের সুলতান মাহমুদ তার ভোগ দখলীয় জমি গ্রামের মাদ্রাসার মোড়ে প্রায় কোটি টাকার সস্পত্তি রয়েছে। জমিতে সুলতান মাহমুদ যথারীতি পানবরজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেছেন। এতে একই এলাকার জফির উদ্দিনের ছেলে কফিল উদ্দিনের কুনজরে পড়ে। এলকায় জমিজমা নিয়ে তার অনৈতিক একাধিক দাবির দেন দরবার রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় ১৭ শতক জমি নিয়ে সুলতান মাহমুদের সাথে কফিল উদ্দিনের রহমান বিরোধ চলছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুলতান মাহমুদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে গত রোববার বিবাদী একই গ্রামের কফিল উদ্দিন (৪৮), তার ছেলে উজ্বল হোসেন (২০), পিতা জফির উদ্দিন (৭০), ভাই তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), সাইফুল ইসলাম (৩৮)সহ বহিরাগত ২০/২৫ জনর মিলে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে গতশনিবার দিন সকালে সুলতান মাহমুদের জমির রোপিত গাছ ও পানবরজ কেটে ব্যাপক ক্ষতি করে।

এসময় খবর পেয়ে কৃষক সুলতানের পরিবার জমিতে গিয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ কফিল, তার ছেলে, ভাই ও তার ভাড়াটে ক্যাডার বাহিনী সুলতান মাহমুদসহ তার পরিবারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে এবং তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। অভিযোগকারী সুলতান মাহমুদ জানান, প্রতিপক্ষ কফিল উদ্দিন ও তার ছেলে উজ্বল গত কয়েক দিন ধরে পথে ঘাটে তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাকে প্রাণ নাশের হুমকিতে সে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। গ্রামের ৫০ অর্ধের বয়স আব্দুর রশিদ, আব্দুল মতিন, মুনসুর রহমান, সাবের আলীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় এধরনের জমি দখল তারা কখনও দেখেননি। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্থানীয়রা কোন মুখ খুলতে পারেনি। ঘটনার সময় দেখে মনে হয় সিনেমার দৃশ্যর মত।

তারা ছিল অধিকাংশ মদ্যপায়ী সন্ত্রাসী উগ্র। বাধাঁ দিলে এলাকায় রক্তের বন্যা বয়ে যেত। তাই স্থানীয়রা বাগমারা থানায় কয়েক দফা ফোনে বিষয়টি জানান। তবে ঘটনার সময় পুলিশ না আসলেও পরের দিন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে দেউলিয়া, নরসিংহপুর, চানপাড়া এলাকার দুর্ধর্ষ ক্যাডারবাহিনী অনবরত এলাকায় আনাঘোনায় এলাকাবাসী শঙ্কিত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদকে পাওয়া যায়নি। তবে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ইউসুফ আলী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।