মঙ্গলবার

১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরের ডহুরী জলমহলে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ

Paris
Update : রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০

কেশবপুরের ডহুরী জলমহল ইজারাদারদের নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই বিষ প্রয়োগে ২৪ লাখ টাকার দেশীয় মাছের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার ডহুরী নদী ও গোধার খালের ২৩. ৫ একর সরকারী জলমহল রয়েছে। জলমহলটি ডিসি অফিসের মাধ্যমে বাৎসরিক ১২ লাখ টাকা ইজারার ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে ৩ বছর মেয়াদে ইজারা পান কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। কিন্তু পূর্বের ইজারা গ্রহণকারী আড়–য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ডহুরী জলমহল বর্তমানের ইজারা গ্রহণকারী কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নিকট বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। উপায়ন্তু না পেয়ে ইজারা গ্রহণকারী কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি যশোর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেন।

যশোরের জেলা প্রশাসক ডহুরী জলমহল বর্তমানের ইজারা গ্রহণকারী কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি বুঝে দেওয়ার জন্য অফিস আদেশ প্রদান করেন। গত ২৬ নভেম্বর কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা সরেজমিন বর্তমানের ইজারা গ্রহণকারী কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে বুঝে দেন। কিন্তু বুঝে দেওয়ার ২দিন পূর্বেই ডহুরী জলমহলে পূর্বের ইজারাদারদের কর্তৃক বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। যার ফলে ঐ জলমহলে বাইন, বেলে, টেংরা, কুচে, জিয়েল, মাগুর-সহ দেশীয় প্রজাতির প্রায় ৬শত মন মাছ মরে প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী বিষ প্রয়োগ করায় পানিতে বিষাক্ত কাটতে আরো ২/৩ মাস সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর জলমহল বুঝে পাওয়ার পর পানিতে বিষাক্ত কাটতে আরো ২/৩ মাস সময় লাগতে পারায় ইজারা গ্রহণকারী কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris